তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৩১ অপরাহ্ণ

হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

indexএকটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল আমাদের ত্বকের জন্য জরুরী যা আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে,তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং আমাদের ত্বককে শুষ্ক করার হাত থেকে রক্ষা করে। তৈলাক্ত ত্বকের সুবিধা হল,তেল বলীরেখা ও মুখের রঙের কোন পরিবর্তন হওয়া থেকে রক্ষা করে।
কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের অসুবিধাও কম না। তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ধুলোবালি আটকে যায় এবং অতিরিক্ত তেল মুখের পোরগুলোকে বন্ধ করে দেয়। এতে করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে ব্রন হওয়ার প্রকোপ বাড়ে। তৈলাক্ত ত্বক যে কারো ,যে কোন বয়সেই হতে পারে।এটি অবহেলা করবেন না। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের আগে আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক তৈলাক্ত।

এই উপসর্গগুলো থাকলে বুঝবেন যে আপনার ত্বক তৈলাক্ত –

১. চকচকে এবং পিচ্ছিল একটা ভাব থাকে কপালে, নাকে এবং থুতনিতে। এই এলাকাকে টি জোন বলে

২. ত্বকটি নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে ঘন ,মোটা থাকে

৩. মুখের পোরগুলো বড় থাকে এবং খালি চোখেই দেখা যায়

৪. মুখ ধোয়ার কিছু সময় পরেই মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায়

৫. ব্রন ,ব্ল্যাকহেডস ,হোয়াইট হেডস এবং গুটিগুটি উঠে মুখে

৬. ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত থাকে

৭. নাকের চারপাশে সাদা সাদা চামড়া থাকে

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন :

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে হয় ২ ভাবে। একটা হল প্রাথমিক যত্ন। অন্যটি হল প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যত্ন। প্রথমেই আসা যাক বেসিক কি কি যত্ন করবেন। ৩টি প্রধান কাজ করতে হয় এই অংশে। কাজগুলো হল-

১. মুখ ভালভাবে পরিষ্কার করা : মুখ ভালভাবে ধোয়া হল তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের মূল চাবিকাঠি। এমনভাবে মুখ ধুতে হবে যাতে মুখের অতিরিক্ত তেল উঠে যায় কিন্তু লিপিড অথবা গ্রন্থির ভিতরের পুরা তেল উঠে না যায়। কারণ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল ও লিপিড আমাদের দরকার। তাই যেই ক্লিনজার ব্যবহার করবেন তা যেন মৃদু সিনথেটিক ডিটারজেন্ট হয় (মুখের জন্য তৈরী) এবং যেটা তেল ,মোম এবং লিপিডমুক্ত যেন থাকে। মৃদু সাবান এবং আইভরি অথবা প্রাকৃতিক সাবান ব্যবহার করা ভাল ।

২. টোনার : এটি মুখ ধোয়ার পর দিবেন। এটি ত্বকের কোষকে সংকুচিত করে, টাইট করে ফলে পোর থেকে তেল কম বের হয় ।এটি ত্বকের ph কমায়। এলকোহল যুক্ত টোনার ব্যবহার করবেন। এছাড়া যে টোনারে এসিটোন থাকে তা কেনার চেষ্ট করবেন। এলকোহল মুখকে শুষ্ক করে ।

৩.মশ্চারাইজার : মৃদু, তেল মোম ও লিপিডমুক্ত মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যাদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাদের এটি ব্যবহারের দরকার নেই ।

অন্যান্য :

.অয়েল ফ্রি কসমেটিক ব্যবহার করুন

.ঘুমানোর আগে মেকাপ তুলুন

.মুখ না ধুয়ে মুখে হাত দিতে ছোঁবেন না বা ঘসবেন না ।এতে পোর বন্ধ হয়ে ব্রন হতে পারে ।

দরকার হলে ভিটামিন এ ক্রীম, রেটিনয়েডস, সালফার ক্রীম দিতে বলে ডার্মাটোলজিস্টরা।

.সুষম খাবার খান। প্রচুর ফলমুল, শাক সবজী, শিম, বাদাম যাতে ভিটামিন বি২ ও বি৫ ঘাটতি না হয় ।

.ধুমপান পরিহার করুন। রিলাক্স থাকুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান ও পানি পান করুন।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ও প্যাক

১.আপেলের রস ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

২.একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন এরপর মুখ গামছা দিয়ে ঢেকে গরম ভাব নিন মুখে ৩ মিনিট।

প্রতিক্ষণ/এডি/জয়

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G